(মালফুজাত-২১০)
আমার মর্যাদা একজন সাধারণ মোমেন হইতে
উপরে মনে করিবেন না। শুধু আমার কথার উপর আমল করা বদ দ্বীনী। আমি যাহা বলি উহাকে
কিতাব ও ছুন্নাহর সহিত মিলাইয়া এবং নিজে চিন্তা ফিকির করিয়া নিজের জিম্মাদারীর উপর
আমল করিবেন। আমিতো শুধু পরামর্শ দিয়া থাকি।
হযরত ওমর (রাঃ) নিজের সাথীদেরকে বলিতেন,
আপনারা আমার মাথার উপর বিরাট জিম্মাদারী তুলিয়া দিয়াছেন। আপনারা সকলে আমার আমলের
তত্ত্বাবধান করিতে থাকিবেন। আমিও আমার বন্ধুদের
খেদমতে সর্বদা সবিনয় অনুরোধ করিয়া থাকি, তাঁহারা যেন আমার
তত্ত্বাবধান করেন। আমার ভুল যেন তাঁহারা সংশোধন করিয়া দেন, আর আমার সরল পথে চলার জন্য ও হেদায়েতের জন্য যেন দোয়া করেন।
(মালফুজাত-২১১)
কোন কাজে মশগুল হওয়ার দরুন অন্যান্য
কাজ হইতে বিরত থাকিতে হয়। আবার লিপ্ত হওয়া কাজে যত বেশী গুরুত্ব দিবেন, অন্যান্য
কাজের গুরুত্ব ততোধিক ভাবে কমিয়া যাইবে। শরীয়তে যে কোন ভাল হইতে ভাল কাজের শেষ
দিকে এস্তেগফার (অর্থাৎ তওবা) করার বিধান আসিয়াছে। আমার নিকট একটি রহস্য ইহাও যে,
সম্ভবতঃ সেই ভাল কাজে লিপ্ত হওয়ার দরুন অন্যান্য কাজের হুকুম পালনের মধ্যে অনেক
ত্রুটি হইয়া গিয়াছে। বিশেষ করিয়া যখন কোন
কাজের আকর্ষণ অন্তরে লাগিয়া যায় এবং মানুষের মন ও দেমাগ সেই কাজে ব্যপ্ত হইয়া যায়
তখন উহা ছাড়া অন্যান্য কাজে অনেক সময় ত্রুটি আসিয়া যায়। তাই যাহারা আমাদের এই কাজে
(অর্থৎ তাবলীগে) লাগিয়াছেন, বিশেষ করিয়া কাজ করিবার সময় এবং কাজ করা শেষ হইলে বেশী
বেশী তওবা-এস্তেগফার পড়াকে নিজের জন্য জরুরী মনে করিবেন।
(মালফুজাত-২১২)
এইসব তাবলিগী জামাতের চলাফেরা, মেহনত
ও কোশেশের দ্বারা সাধারণ মানুষের মধ্যে শুধুমাত্র দ্বীনের তলব এবং কদর পয়দা করা
যাইতে পারে। এবং তাহাদিগকে দ্বীন শিখিবার উপর তৈয়ার করা যাইতে পারে। পরবর্তী ধাপে
তাহাদেরকে দ্বীন শিক্ষা দেওয়া ও তাহাদের তরবীয়ত ওলামা এবং নেককার লোকদের তাওয়াজ্জু
দ্বারাই সম্ভব হইতে পারে। এই জন্য বুজুর্গদের দৃষ্টি দানের খুব বেশী প্রয়োজন
রহিয়াছে।